• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইনজীবী ও বিচারকের দ্বন্দ্বে ভুক্তভোগী বিচার প্রার্থীরা


রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২১, ০৭:৫৯ পিএম
আইনজীবী ও বিচারকের দ্বন্দ্বে ভুক্তভোগী বিচার প্রার্থীরা

রাজবাড়ীতে বার এসোসিয়েশনের আইনজীবীদের সঙ্গে জেলা ও দায়রা জজের নির্মাণাধীন ভবন নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে ভুক্তভোগী হচ্ছেন সাধারণ বিচার প্রার্থীরা। আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত আইনজীবীদের মামলা তিনি (বিচারক নীলুফার সুলতানা) বিচার প্রক্রিয়ায় নিচ্ছেন না বলে দাবি করেন আইনজীবীরা।

রাজবাড়ীতে বার এসোসিয়েশনের স্বত্ব দখলীয় জমিতে অবৈধ মার্কেট নির্মাণ এবং আইনজীবীদের ওপর হামলায় দোষীদের বিচারের দাবিতে সাধারণ আইজীবী পরিষদের ব্যানারে মানববন্ধন করেন সাধারণ আইনজীবীরা।

সোমবার (২২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বার এসোসিয়েশন চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

অ্যাডভোকেট বিজন কুমার বোসের সঞ্চালনায় এবং সাধারণ আইজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. ওমর আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী বার এসোসিয়েশনের সভাপতি স্বপন কুমার সোম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খান মো. জহিরুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোল্লা নিয়াজ আইয়ুব, অ্যাডভোকেট মো. মনজুর মোরশেদ।

এসময় বক্তরা বলেন, “বার এসোসিয়েশনের জায়গায় অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণ করছে জেলা ও দায়রা জজ নীলুফার সুলতানা। আমরা বারবার অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু প্রতিকার না পেয়ে আমার হাইকোর্টে রিট করেছি। হাইকোর্ট মার্কেট নির্মাণ স্থগিত করেন। আমরা আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সারাদেশের বার এসোসিয়েশনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককেও বিষয়টি অবহিত করেছি।”

বক্তরা আরো বলেন, “আমরা এর আগেও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছি। কিন্তু সেই আন্দোলনে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী দিয়ে বারের আইনজীবীদের হামলা করেছেন। আমরা তারও বিচার পাইনি। আমরা জেলা ও দায়রা জজ (নীলুফার সুলতানা) আদালত বর্জন করেছি। কিন্তু জেলা ও দায়রা জজ কোনোভাবেই বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না। বরং আমাদের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা না করে বাণিজ্য করছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং আমাদের স্বত্ব দখলীয় জমি ফেরত না পাওয়া এবং আইনজীবীদের ওপর হামলায় দোষীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”

জেলা বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট স্বপন কুমার সোম বলেন, “জেলা ও দায়রা জজ নীলুফার সুলতানা আন্দোলনে যারা অংশ নিচ্ছেন তাদের বিচারধীন মামলা পরিচালনা করছেন না। করলেও সেগুলোর সঙ্গে অবিচার করছেন। এভাবে তিনি আইনজীবী ও বিচার প্রার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করছেন। তিনি আইনজীবীদের মাঝে বিভেদ তৈরি করছেন। আমরা তার অবিলম্বে বদলি দাবি করছি।”

Link copied!